চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য বিচারের কথা বলে ডেকে এনে দুই সহোদরকে মারধর ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ওই সহোদেরকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১০ডিসেম্বর বিকাল দুইটার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
বিএমচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মারধরের শিকার কলিম উল্লাহ স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, স্বামীর ভাই এরশাদের সাথে আমাদের বসতভিটা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের নিষ্পত্তির কথা বলে
গত ১০ডিসেম্বর তার স্বামী কলিমউল্লাহ (৪৫) দেবর মহিবউল্লাহ (৪০) কে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াদুল ইসলাম সেলিম ও দিদারুল ইসলাম। পরিষদে নিয়ে গিয়ে স্বামী কলিম উল্লাহ ও দেবর মহিব উল্লাহকে হাত পা বেধে অমানষিক নিযার্তন চালায়। একপর্যায়ে দুই সহোদরকে পরিষদের একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখে। এসময় তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও দুই মেম্বারের নির্যাতন অব্যাহত রাখে। খবর পেয়ে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে কলিমউল্লাহ ও মহিবউল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পৈত্রিক পাওয়া দশ শতক জমি প্রতিপক্ষ এরশাদকে দখল পাইয়ে দিতে দুই ইউপি সদস্য জিয়াদুল ইসলাম সেলিম ও দিদারুল ইসলাম তার স্বামী ও দেবরকে পিঠিয়েছে। তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান। ওইসময় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পরিষদে উপস্থিত থাকলেও নিরব ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে গত ১২ডিসেম্বর মনোয়ারা বেগম স্বামী ও দেবরকে অহেতুকভাবে নির্যাতন ও মারধরের সুষ্ঠ বিচার চেয়ে চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ##
পাঠকের মতামত: